র্জাসি গরু খামার
র্জাসি গরু খামার

জার্সি (Jersey) জাতের গরু

জার্সি জাতের গরু চেনার উপায় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে গরুর জাত নির্ণয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গরু সঠিক জাত নির্বাচন করতে না পারলে গরু পালনে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চলুন জেনে নেই জার্সি জাতের গরু চেনার উপায় সম্পর্কে-

 ১. জাতের নামঃ জার্সি

২. উৎপত্তিঃ গরুর জার্সি জাতের উৎপত্তি ইংলিশ চ্যানেলের জার্সি নামক ব্রিটিশ দ্বীপ থেকে । এই জাতটি এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায় । সবচেয়ে বেশী পরিমানে পাওয়া যায় ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় ।

৩. রং: জার্সি জাতের গরু বিভিন্ন শেড যুক্ত (হাল্কা থেকে গাঢ় কালো মিশ্রিত) বাদামি রঙের হয়ে থাকে। বিশেষ করে মুখের দিকেএকটি ঢালাও রঙের উপর সাদা সাদা দাগ যুক্ত থাকে। সাদা দাগ গুলো খুব কমও হতে পারে আবার খুব বেশীও হতে পারে । খুব বেশী হলে সারা শরীর অনেকটা সাদা রং ধারণ করে ।

৪. সাইজ বা আকারঃ প্রাপ্ত বয়স্ক জার্সি জাতের গাভীর ওজন ৪০০ কেজি থেকে ৫০০ কেজি (৮৮০ থেকে ১১০০ পাউন্ড) হয় । প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড় ৫৪০ থেকে ৮২০কেজি (১১৯০ থেকে ১৮১০ পাউন্ড) হয়ে থাকে । জন্মের পর বাছুরের ওজন প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত হয় । গাভী এবং ষাঁড় উভয়েই অন্যান্য জাতের গরু থেকে ছোট আকারের হয়ে থাকে ।

৫. অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ

  • লম্বা দেহ , ভারী নিতম্ব ও খাটো পা ৷
  • চূড়া হতে কোমড় পযন্ত পিঠ একদম সোজা থাকে ৷
  • মুখবন্ধনী  কালো ও চকচকে হয় ৷
  • গায়ের রং লালচে বাদামী রং, এবং অনেক সময় সাদা ছাপ যুক্ত হয় ৷
  • শিং পাতলা এবং সামনের দিকে সামান্য বাঁকানো থাকে ৷

৬. ব্যাবহার ও উৎপাদন ক্ষমতাঃ
জার্সি জাতের গরু দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কারণ:
১. কম ওজন, কম খরচ এবং ঘাস খাওয়ার প্রবণতার কারণে অল্প জায়গায় অধিক গরু পালন করা যায়।
২. অন্যান্য “ডেইরি কাউ” বা দুধ উতপাদনকারী জাতের গরুর সাথে ক্রস ব্রিডিং করানো যায়।
৩. অধিক বংশুবৃদ্ধি করার ক্ষমতা।

জার্সি জাতের গরু মুলত দুধ উৎপাদনের জন্য পালন করা হয় । এই জাতের গরু উচ্চ মানের দুধ উৎপাদন করে থাকে । জার্সি জাতের গাভীর দুধের ফ্যাটের পরিমাণ ৪% থেকে ৮% এবং গড়ে প্রায় ৫.৩%। ৩০৫ দিনে গড়ে প্রায় ৩৭২৯ কেজি এবং ৩৬৫ দিনে প্রায় ৪১০৮ কেজি দিয়ে থাকে ।

 

Similar Posts

X
%d bloggers like this: