পেয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ বা ক্ষত রোগ
রোগের নামঃ
পেয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ বা ক্ষত রোগ Anthracnose of Guava
রোগের কারণঃ
Colletotrichum gloeosporioides নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
লক্ষণঃ
- এ রোগ কান্ড, শাখা, প্রাশাখা পাতা ও ফলে আক্রমণ করে।
- প্রথমে পেয়ারার গায়ে ছোট ছোট বাদামী দাগ দেখা যায়।
- ধীরে ধীরে দাগ বেড়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
- পরিপক্ক ফল ফেটে যায়।
- পাতায় কালো দাগ পড়ে এবং কচি কান্ড আগা থেকে শুকিয়ে মরে যায়।
- ছোট-বড় যে কোন বয়সের গাছ আগা থেকে মরতে পারে যা ডাইব্যাক নামে পরিচিত।
- কচি ও পাকা ফল রোগাক্রান্ত হতে পারে। ফলে গোলাকার উঁচু কালো দাগ হয়, ফল ফেটে যায় ও অধিকাংশ সময় পচে যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
- গাছের নিচের ঝরে পড়া পাতা, ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলা।
- আক্রমণ বেশী হলে পেয়ারার কুঁড়ি আসার আগে প্রতি লিটার পানিতে কার্বেন্ডাজিম ০১ গ্রাম বা ০.৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি মিশিয়ে মৌসুমে ৩/৪ বার ১৫ দিন পর স্প্রে করা।
- ফল সংগ্রহের পর গাছের মরা ডালপালা ছাঁটাই করা।
- বছরে তিন ভাগে সুষম সার (নাইট্রোজেন-ফসফরাস-পটাসিয়ামঃ ২৩০-২৪০-৩০০ গ্রাম/গাছ) প্রতি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা।
- গাছে পেয়ারার ফুল আসার আগে আগে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক নোইন (০.১%) স্প্রে করা এবং ১৫ দিন পর আরো দুইবার স্প্রে করা।