ফাইটিং ফিশ মাছ চাষ
ফাইটিং ফিশ মাছ চাষ

ফাইটিং ফিশ মাছ চাষ

রিবার Anabantidaeবৈজ্ঞানিক নাম betta splendens

এশিয়া মহাদেশের মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এদের স্বদেশ বলে মনে করা হয়। লম্বা, দুই পার্শ্বদেশ চ্যাপটা, পায়ুর পাখনা বেশ প্রশস্ত। পিঠের পাখনা বেশ লম্বা ও উঁচু। লেজের পাখনা গোলাকৃতি। এরা নানা রঙের হয়। পুরুষ মাছেরা বেশি রঙবাহারি হয়। পিঠের ও লেজের পাখনা পুরুষদের বড় হয়। এরা দৈর্ঘ্যে ৬ সেমি মতো হয়। ২৫ – ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপে সাধারণ জল এদের বসবাসের পক্ষে উপযোগী।

জলাশয়ের নীচের দিকে শ্যাওলার মধ্যে থাকতে এরা বেশি পছন্দ করে। এরা মুখ্যত জুপ্ল্যাঙ্কটনই খায়। তৈরি খাবারেও এদের অনীহা নেই। এদের একটা পুরুষ অন্য পুরুষ মাছের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন। যুদ্ধং দেহি ভাবে থাকে। তাই দু’টি বা তার বেশি পুরুষ একই অ্যাকোয়ারিয়ামে না রাখাই উচিত। স্ত্রী মাছেরা শান্ত, তারা অন্য জাতীয় বা সমগোত্রীয় মাছের প্রতি অশান্ত ভাবাপন্ন হয় না।

বংশ বিস্তার

এদের ডিম থেকে জন্ম এবং এদের পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী মাছেরা ডিম পাড়ে। এদের স্ত্রীদের ডিম পাড়ার সময় হলে পুরুষ মাছ ভেসে থাকা ছোট ছোট উদ্ভিদের নীচে গোলাকার বুদবুদের মতো তৈরি করে। তার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে পুরুষ ও স্ত্রী মাছের মিলন ঘটে। পুরুষ মাছ এই সময় স্ত্রী মাছকে জড়িয়ে ধরে। তখন স্ত্রী মাছ ডিম পাড়তে থাকে। এক এক বারে ৬ – ২০টি ডিম পাড়ে। পুরুষ মাছ এই ডিমগুলি মুখের ভিতরে নিয়ে ওই বুদবুদাকার গোলে সংরক্ষণ করে। জলের গভীরতা ১০ – ১৫ সেমি উপযোগী। এই প্রক্রিয়া কয়েক বার চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর স্ত্রী মাছকে আলাদা করে নেওয়া হয়। পুরুষরা ওই ডিম এবং পরে সদ্যোজাত ছোট বাচ্চাদের পাহারা দেয়। সংরক্ষণ করে। পরে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে পুরুষ মাছের নিষ্কৃতি। তখন পুরুষকে আলাদা করে নেওয়া হয়।

Similar Posts

X
%d bloggers like this: