সফেদার চাষ পদ্ধতিঃ
সফেদা এক প্রকার মিষ্টি ফল। সফেদা গাছ বহুবর্ষজীবী, চিরসবুজ। এর আদি নিবাস মেক্সিকোর দক্ষিণাংশ, মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মেক্সিকোতে এর ব্যাপক উৎপাদন হয়।সফেদা ফল দেখতে মেটে রঙের ও খসখসে। খেতে খুবই ভালো। এতে রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণ ও ক্যালসিয়াম।
জাতঃ
আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের জাত রয়েছে। যেমন- গোলাকার ও ডিম্বাকৃতি।
পুষ্টিমান:
সফেদা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ একটি ফল।
ভেষজ গুণ:
ফলের শীতল পানীয় বা শরবত জ্বর নাশক হিসেবে কাজ করে। ফলের খোসা শরীরের ত্বক ও রক্তনালী দৃঢ় করে রক্তক্ষরণ বন্ধে সাহায্য করে।
উপযুক্ত জমি ও মাটি:
সব ধরনের মাটিতেই ফলে, এমনকি লোনা মাটিতেও সফেদা জন্মে । উঁচু পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি বেশি উপযোগি।
চারা রোপণ:
জ্যৈষ্ঠ – শ্রাবণ মাস চারা রোপণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। বর্ষার আগে ৮-১০ মিটার দুরত্বে ৯০ সে:মি: চওড়া এবং ৯০ সে:মি: গভীর মাপের তৈরী মাদায় কলম রোপন করতে হয়, তাতে হেক্টরপ্রতি মাদায় কলম রোপন করতে হয়, তাতে হেক্টর প্রতি ১৫০-১৯০(একরে ৬০-৭৫) টি কলমের দরকার হয় ।
সার প্রয়োগ:
প্রতি গর্তে গোবর ১৫ কেজি, টিএসপি সার ২৫০ গ্রাম, এমওপি সার ২৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে সফেদা চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে । জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:
সফেদা গাছ খরা সহ্য করতে পারে, তবে বেশি খরার সময় প্রয়োজনীয় সেচ দিলে ফলন ভাল হয়।
পরিচর্যা:
আগাছা দমন, মাটি আলগা রাখা, খরা মৌসুমে সেচ দেয়া, এবং ৭-৮ বছর সাথী ফসল চাষ করা প্রয়োজন ।
ফসল সংগ্রহ:
প্রায় সারা বছরই ফুল আসে এবং সাধারনত ফাল্গুন মাস থেকে আরম্ব করে অগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় । গাছ প্রতি বছরে ১০০০-৩০০০ টি পাওয়া যায় ।
You must log in to post a comment.