Description
নাম : চালতা
পরিচ্ছেদসমূহ
- ১উৎপত্তি
- ২আকার
- ৩ব্যবহার্য অংশ
- ৪রোপনের সময়
- ৫গুনাগুণ
- ৬শ্রেণীবিন্যাস
- ৭চিত্রশালা
- ৮তথ্যসূত্র
উৎপত্তি
চালতার জন্ম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশে জন্মে।[১]
আকার
চালতা গাছ মাঝির আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছ উচ্চতায় ১৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। গাছের গায়ে লালচে রঙের চকচকে বাকল থাকে[২]। পাতার কিনারা খাঁজ কাটা, শিরা উঁচু সমান্তরাল। চালতার সাদা রঙের ফুল দেখতে সুন্দর ; এটি সুগন্ধযুক্ত। ফুলের ব্যাস ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। ফুলে পাঁচটি মোটা পাঁপড়ি বেষ্টিত কেন্দ্রে প্রচুর হলুদ পুংকেশর থাকে ; বৃতিগুলো সেসব পাঁপড়িকে আঁকড়ে ঘিরে রাখে। বছরের মে-জুন মাসে ফুল ফোটার মৌসুম।[৩]
ব্যবহার্য অংশ
ফল টক বলে চালতার আচার, চাটনি, টক ডাল অনেকের প্রিয় খাদ্য।[] পাকা ফল পিষে নিয়ে নুন-লংকা দিয়ে মাখালে তা বেশ লোভনীয় হয়। গ্রাম এলাকায় সাধারণত জঙ্গলে এ গাছ জন্মে ; কখনো কখনো দু’একটি গাছ বাড়ির উঠানে দেখা যায়। চালতা ফলের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। প্রকৃত ফল বৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। ফল বাঁকানো নলের মত ; ভিতরে চটচটে আঠার মধ্যে বীজ প্রোথিত থাকে।[৩][৪] চালতা অপ্রকৃত ফল; মাংসল বৃতিই ভক্ষণযোগ্য।
রোপনের সময়
বর্ষার পর ফল পাকে, শীতকাল পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। পাকা ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। গাছে ফল পাকলে যদি তা না পাড়া হয় তবে সে ফল থেকে বীজ আপনাআপনি মাটিতে ঝরে পড়ে ; অনুকূল পরিবেশে তা থেকে চারা গজায়। এজন্য চালতা তলায় প্রায়শ: ছোট ছোট অনেক চারা দেখা যায়। এসব চার তুলে বাগানে লাগিয়ে দিলেও গাছ হয়। তবে বীজ থেকে করা চারার গাছ ফল ধরতে ৬-৭ বছর লেগে যায়। গাছ বাঁচে কম-বেশি ২৫-৩০ বছর। শাখা কলম বা কাটিং করেও চালতার চারা তৈরি করা যায়। সেসব কলমে দ্রুত ফল ধরে।[৩]
গুনাগুণ
- ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে এর রস অনেক উপকারে লাগে।
- বাতের ব্যথাতে কচি চালতার রস জলের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- রক্ত আমাশয়ের জন্য চলতার কচি পাতার রস উপকার।
- কফ ও সর্দির জন্য গাছের ছালেত গুঁড়া নিরাময়ের কাজ করে
Reviews
There are no reviews yet.